ফিরে দেখা: ৫ আগস্ট বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারিখটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই দিনটি শুধুমাত্র একটি স্বৈরাচারী শাসনের পতন নয়, বরং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং একটি নতুন বাংলাদেশের যাত্রার শুরু বলে বিবেচিত হতে পারে।
তরুণদের নেতৃত্বে এই ঐতিহাসিক আন্দোলন স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রের জন্য একটি নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারিখটি বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সুশাসন ধ্বংসের চিত্র দেখে আসা বাংলাদেশ এই দিনটি দিয়ে একটি নতুন সূচনা করে।
স্বৈরাচারী শাসনের কালো অধ্যায়
বিগত দশকের শাসনব্যবস্থা ছিল একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রহসন। ২০১৪, ২০১৮ এবং পরবর্তীতে নির্বাচনী প্রহসনগুলো দেশের জনগণকে হতাশ করেছে। বিরোধী দলকে দমন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, এবং ব্যাপক দুর্নীতি শাসনামলের বৈশিষ্ট্য ছিল।
ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের সূত্রপাত
তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে একটি ঐতিহাসিক আন্দোলন শুরু হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো নির্যাতন সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরি করে। ছাত্র-নাগরিক ঐক্য একটি বৃহৎ গণআন্দোলনে রূপ নেয়।
স্বৈরাচারের পতন
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করেন। তার দল আওয়ামী লীগের শাসনেরও ইতি ঘটে। বর্তমানে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালিত হচ্ছে।
গণতন্ত্রের পথে নতুন যাত্রা
বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ পথে হাঁটছে। এটি তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি নতুন আশা এবং ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি বহন করছে।